• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ষাট গম্বুজ বার্তা

সুন্দরবনের নদী-খালের তীরে ম্যানগ্রোভ বনায়নের উদ্যোগ

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২৪  

সুন্দরবনের ওপর বনজীবীদের চাপ কমাতে ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধরে রাখতে বনসংলগ্ন এলাকার নদী-খালের তীরে ম্যানগ্রোভ বনায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। জলবায়ু তহবিলের লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডে ফ্রান্সের দেওয়া প্রতিশ্রুত অর্থ থেকে ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা এবং প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন ও বন বিভাগ যৌথভাবে এই কাজ করবে।

ইতিমধ্যেই ফরাসি প্রতিনিধিদল, আইইউসিএন বাংলাদেশের কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা সুন্দরবনসংলগ্ন দাকোপ, কয়রা ও শ্যামনগর উপজেলার কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেছেন। এ তথ্য জানিয়েছেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন।

আবু নাসের মোহসিন হোসেন জানান, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদ থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কালিন্দী নদী পর্যন্ত ছোট-বড় ৫২টি নদ–নদী ও খাল শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, দাকোপ, কয়রা ও শ্যামনগর উপজেলার গ্রামাঞ্চলের মধ্য দিয়ে সুন্দরবনে ঢুকেছে। মাত্র এক শতাব্দী আগেও সুন্দরবনের উপরিভাগের এসব এলাকায় ম্যানগ্রোভ বনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ছিল। কিন্তু গাছপালা কেটে মানববসতি তৈরিসহ নানা কারণে বনসংলগ্ন নদ-নদী ও খালের তীরবর্তী ম্যানগ্রোভ বন বিলীন হয়ে গেছে। ওই সব নদী-খালও ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে সুন্দরবনের ওপর মানুষের নির্ভরশীলতাও বেড়েছে। এ অবস্থায় ‘আপার সুন্দরবন রেস্টোরেশন’ প্রকল্প নিয়েছে বন বিভাগ। এর আওতায় বাগেরহাটের বলেশ্বর থেকে সাতক্ষীরার কালিন্দী নদী পর্যন্ত ৫২টি নদ–নদী ও খালের পাড়ের ১৩০ কিলোমিটার এলাকায় সুন্দরবনের আদলে গোলপাতা, গেওয়া ও কেওড়ার নতুন বন সৃজন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের কাজ এ বছরই শুরু হবে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইন্টিগ্রেটেড স্টাডিজ অন সুন্দরবন কোস্টাল ইকোসিস্টেমের সহযোগী অধ্যাপক মো. রকিবুল হাসান সিদ্দিকী বলেন, এ কার্যক্রম প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধরে রাখতে ভূমিকা রাখবে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও বঙ্গোপসগরে সৃষ্ট ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবন ও এর আশপাশের জনবসতি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ধরনের বনায়ন যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে।

পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক সংস্থা চেঞ্জ ইনেশিয়েটিভের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৯৭৩ সালে সুন্দরবনের ৯৪ দশমিক ২ শতাংশ এলাকা ঘন বনে আবৃত ছিল। ২০২৪ সালে তা কমে ৯১ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা